বাত জ্বর একটি তীব্র রোগ প্রতিরোধীয় যোজক কলার বিভিন্ন তন্ত্রের প্রদাহ জনিত রোগ যা গ্রুপ- এ বিটা হেমোলাইটিক স্ট্রেপ্টোকক্কাস জীবাণু দ্বারা হয়ে থাকে।
বাত জ্বরের কারণ:
১) প্রকৃত কারণ অজানা।
২) বয়স ৫-১৫ বছর।
৩) আখলাত বিকৃতির কারণে।
৪) ঠান্ডা পরিবেশ।
৫) স্যাঁৎ স্যাঁৎ পরিবেশ।
৬) অধিক জনবহুল বসতি।
৭) অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
৮) দারিদ্র আর্থ-সামাজিক অবস্থা।
৯) শ্বসন তন্ত্রের উপরের অংশে- এ বিটা হেমুলাইটিকাস স্ট্রেপ্টোকক্কাস জীবাণুর আক্রমণ।
সাধারণত ০-১৫ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে দেখা যায়। তবে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে মাত্র ২০% রোগীদের মাঝে এই রোগটির প্রথম আক্রমণ পরিলক্ষিত হয়।
বাতজ্বর নির্ণয়ের পদ্ধতি: Jones criteria এর পরিমার্জিত বাতজ্বর নির্ণয়ের পদ্ধতি অনুযায়ী বাতজ্বর নির্ণয় হবে যখন- কমপক্ষে দুটি Major criteria অথবা একটি Major criteria র সাথে দুটি Minor criteria উপস্থিত থাকবে এবং এর সাথে অবশ্যই ট্রেপ্টোকক্কাল ইনফেকশনের লক্ষণ থাকতে হবে।
বাত জ্বরের লক্ষণ:
Major Criteria: নিম্নে দেওয়া হলঃ-
১) পলি আর্থ্রাইটিস (Polyarthritis).
২) হৃৎপিন্ডের প্রদাহ (Carditis).
৩) অন্তঃত্বকীয় নিডিউল (Subcutaneous nodules).
৪) ত্বকের উপরিভাগে লাল দানাদার দাগ (Erythema marginatum).
৫) সিডেনহামস করিয়া (Sydenham’s chorea).
Minor criteria: নিম্নে দেওয়া হল:-
১) জ্বর থাকবে যা ১০১-১০২°F পর্যন্ত থাকবে।
২) অস্থিসন্ধির ব্যাথা বা আর্থলজিয়া (Arthralgia)।
৩) রক্তের পরীক্ষায় ESR বেড়ে যাবে।
৪) ই.সি.জি (ECG) পরীক্ষায় হার্ট ব্লক (heart block) দেখা যাবে। যেমন- PR এ ক্ষেত্রে interval টি দীর্ঘ দেখাবে।
৫) First degree AV Block পাওয়া যেতে পারে।
নাইচ আর্টিকেল।
ধন্যবাদ❤️।